কবিতা-এস আর এফ খানের ২টি কবিতা

একটা ফড়িঙ অথবা প্রজাপতি

এস আর এফ খান


আবছা নদীঅস্পষ্ট জলটলটল তোর চোখ জ্বলে
এতো অন্ধকারেবালিশের তালুতে মুছে
একটুকরো আঘাতঅজুহাত!
বলা বারণকারণ অকারণ সব জড় করে
আলগোছে বুকের এখান থেকে তোর কষ্টের ঠিকানা!
জানা না জানা সবটুকু একঢোকে শুষে
পুষে রাখা বেদনা__
হঠাৎ জানি না কেনো আবার কথা বললো।

হঠাৎ জানি না কোত্থেকেকি হারিয়ে নাকি পেয়ে 
গন্তব্যের হালকা ভেজা পথে
নামহীন নগর নিঃশ্বাস ছেড়ে তাকানো!
এতো অন্ধকারেতবু চেনা যায় কারুভাঁজপ্রবেশ পথ
তোর একেকটা দুঃখের খোপে সরল আনন্দ
কিছুটা দূরে শান্ত খেয়ালি কল্পানা
হঠাৎ জানি না কেনো আবার কথা বললো।




ভাবতে তো দোষ নেই

এস আর এফ খান


ভাবতে তো দোষ নেই তাইনা?
গুরুত্ব বা খামখেয়ালীভাবে হলেও সামনাসামনি
যখন এসে দাঁড়াওতখন___
বলীরেখার সমস্ত শরীরটাতে দেখিঅনুরাগের বয়স নেই!
রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভাবেরা মৃত হিম।

ভাবতে তো দোষ নেইতাইনা?
ভেবেছিলাম আর দু'চার দশজনের মতো হবে না
অনিন্দ্যসুন্দর বা সুনিশ্চিত জীবনযাপনের কথা বলবে না
শুধু বলবে বেঁচে থাকো অথবা
মৃত্যু হলেও পাশে থেকো শাশ্বত সত্যি হয়ে।

অনেক উঁচু খাড়া পাহাড় বেয়ে ওঠার পথে
সম্পর্কের বিশ্বাসটা হলো আঁকড়ে ধরা শক্ত তৃণের মতো!
যা হারালে পিছলে পড়ে যেতে হবে!
ভাবতে তো দোষ নেইতাইনা?
আমি না হয় বিশ্বাস করিবিশ্বাস ভাবিবিশ্বাস আশা করি
আর দেখো বিশ্বাস না করেও উপায় নেই
যেখানে বেঁচে থাকাই অনিশ্চিত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন