একটা ফড়িঙ অথবা প্রজাপতি
এস আর এফ খান
আবছা নদী, অস্পষ্ট জল, টলটল তোর চোখ জ্বলে
এতো অন্ধকারে? বালিশের তালুতে মুছে
একটুকরো আঘাত, অজুহাত!
বলা বারণ, কারণ অকারণ সব জড় করে
আলগোছে বুকের এখান থেকে তোর কষ্টের ঠিকানা!
জানা না জানা সবটুকু একঢোকে শুষে
পুষে রাখা বেদনা__
হঠাৎ জানি না কেনো আবার কথা বললো।
হঠাৎ জানি না কোত্থেকে, কি হারিয়ে নাকি পেয়ে
গন্তব্যের হালকা ভেজা পথে
নামহীন নগর নিঃশ্বাস ছেড়ে তাকানো!
এতো অন্ধকারে? তবু চেনা যায় কারুভাঁজ, প্রবেশ পথ
তোর একেকটা দুঃখের খোপে সরল আনন্দ
কিছুটা দূরে শান্ত খেয়ালি কল্পানা
হঠাৎ জানি না কেনো আবার কথা বললো।
ভাবতে তো দোষ নেই
এস আর এফ খান
ভাবতে তো দোষ নেই তাইনা?
গুরুত্ব বা খামখেয়ালীভাবে হলেও সামনাসামনি
যখন এসে দাঁড়াও, তখন___
বলীরেখার সমস্ত শরীরটাতে দেখি, অনুরাগের বয়স নেই!
রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুভাবেরা মৃত হিম।
ভাবতে তো দোষ নেই, তাইনা?
ভেবেছিলাম আর দু'চার দশজনের মতো হবে না
অনিন্দ্যসুন্দর বা সুনিশ্চিত জীবনযাপনের কথা বলবে না
শুধু বলবে বেঁচে থাকো অথবা
মৃত্যু হলেও পাশে থেকো শাশ্বত সত্যি হয়ে।
অনেক উঁচু খাড়া পাহাড় বেয়ে ওঠার পথে
সম্পর্কের বিশ্বাসটা হলো আঁকড়ে ধরা শক্ত তৃণের মতো!
যা হারালে পিছলে পড়ে যেতে হবে!
ভাবতে তো দোষ নেই, তাইনা?
আমি না হয় বিশ্বাস করি, বিশ্বাস ভাবি, বিশ্বাস আশা করি
আর দেখো বিশ্বাস না করেও উপায় নেই
যেখানে বেঁচে থাকাই অনিশ্চিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন