ছোটগল্প-মোঃ আমিনুল ইসলাম আমেল

রাজার জামাতা মস্য যুবক!
মোঃ আমিনুল ইসলাম আমেল


চন্দন দীপের রাজা আবাস সিং সে এক দিন তার রাজ্য ঘুরে প্রসাদে ফিরতে ছিল
হঠাৎ এক নাগিন তার বার দিনের একটি বাচ্চা নিয়ে রাস্তা পার হতেই দ্রুত
ঘোড়ার গাড়ি আসায় এতে চাকা নিচে পরে নাগিনির বাচ্চাটি চাপা খেয়ে মারা
যায় তখন নাগিন রাগানিত হয়ে সাথে সাথে মানুষ রুপে ধরে বলে হে রাজা আমি
ইচ্ছা করলে এখন তোমাকে মেরে ফেলতে পারি কিন্তু না তোমাকে মেরে ফেলবো
নাআমার বার দিনের বাচ্চাটি মেরে ফেলে দিয়ে আমাকে যেমন সন্তান হারানো
ব্যথা দিলে ঠিক আমি  তেমন বার বছরের মধ্যে তোমার সন্তানকে মেরে ফেলে
সন্তান  হারানোর ব্যথা কি? তোমাকে  লাভে আসলে বুঝিয়ে দেবো নাগিন রাজাকে
কথাগুলো বলে আবার সাপে পরিনিত হয়ে  চলে গেলো
রাজা নাগিনির কথা শুনে ভিষন চিন্তিত হয়ে পড়লআর দ্রুত  প্রসাদে ফিরে
জুরলি এক সভা ডাকে রাজা সভা উজির নাজির মন্ত্রি সহ রাজ দরবারে সকল
কর্মচারিদের কে  নিয়ে বসে এবং নাগিনি বার বছরের মধে তার সন্তানকে মেরে
ফেলতে  চেয়েছে  সে কথা বলে রাজপুত্রকে মেরে ফেলার কথা শুনে সভা সবাই
বিষমিত হয়ে পড়ে পরে সভার সিদ্ধান্ত মতে রাজের সকল ওঝা বেদে জ্যোতিষদের
কে ডাকাতে বলা হয়

রাজ্যের সকল ওঝা বেদে জ্যোতিষ যথা সময়ে রাজদরবারে হাজির হলো তবে বেদে
ওঝারা এর কোনো সমাধান দিতে পারলো না তখন জ্যোতিষ তার প্রান্ড লিপি দেখে
গননা করে বলে মহারাজ একটা সমাধান দেখছি ! তবে এটা ছাড়া রাজপুত্রকে বাচানো
আর কোনো উপায় নেই তানাহলে নাগিন যে কথা বলেছে তা দেখছি সত্যি হবে
রাজপুত্রকে বাচানো এক মাত্র উপায় হলো মানুষ রুপ পরিবতন করে অন্য রুপে বার
বছর রাখতে হবে তাহলেই রাজপুত্র নাগিনির হাত থেকে বেচে যাবে একথা শুনে
রাজা বলে যে ভাবেই হোক  নাগির হাত থেকে আমার সন্তানকে বাচিয়ে রাখতে
চাইমহারাজা তাহলে  একটা দিঘি খনন করেন আমি মন্ত দিয়ে আপনার পুত্রকে
একটি মস্য বানিয়ে দেবো দিঘিতে রাখবেন! আর আপনার পুত্র কে যখন দেখার ইচছা
জাগবে তখন আপনি নৌকা দিয়ে দিঘির মাঝ খানে গিয়ে
খাবার দিয়ে মস্যটি ধরে নৌকায় ওঠালে আবার মানুষে পরিনিত হবে মহারাজ
ভাবে আপনার পুত্র কে শিখা দিখা থেকে সব কিছু শিখাতে পারবেন! আর দিঘি খনন
না হওয়া পযন্ত আগুন দিয়ে ঘিরে রাখুন জাতে নাগিন আসতে না পারে

তখন জ্যোতিষের কথা মতে রাজা রাজ্যের প্রজাদের কে দিয়ে দ্রুত এক মাসে একটা
নতুন গভির দিঘি খনন করলআর তখন রাজ্য পুত্র কে নাগিনির হাত থেকে বাচাতে
জ্যোতিষ তার মন্ত দিয়ে মস্য বানিয়ে দিঘিতে ছেড়ে দিলো আর এদিকে রাজ
পুত্রর তিন বছর মস্য  জীবন কেটে গেলো সে দুখের মস্য জীবনে থেকে কিছুটা
লিখা পড়া করলো

 
বছরে শ্রাবন মাসে প্রচুর বৃষ্টি হয়ে নদী নালা ভরে যাওয়া হঠাৎ বন্যা এসে
ধার স্রোতে ভেসে নিয়ে চলে যায় মস্য রাজ্য পুত্রকে তখন মস্য রাজ্য পুত্র
নদী জলে চলে যায় ভাটির দিকেরে  সাম রাজ্যে

এক দিন সাম রাজ্যে রাজার মেয়ে নিলা বশি নিয়ে তার দাসিকে সাথে যায় নদীতে
মাছ ধরতে আর তখন মস্য রাজ পুত্র খাবার খুজতে ছিলো নিলা বশিতে খাবার
দিয়ে   নদীতে সিপ ফেললে মস্য পুত্র খাবার সহ বশিটি খেয়ে ফেলে আর তখন
নিলা বশি সিপ টান দিলে মানুষ রুপে নদী থেকে উঠে আসে নিলা প্রথমে  দেখে
ভয় পায়! তখন মস্য পুত্র বলে তুমি ভয় পেওনাআমি মানুষ ! তবে জানি না যে
কেন আমি ডাঙ্গা এলে মানুষ আর জলে গেলে হই মাছ! তার পর তাদের দুজনের মধ্যে
অনেক কথা হলো এবং দুজন বদ্ধুত করলো পরে আলোচনা শেষে নিলা মস্যটিকে তাদের
পুকুরে নিয়ে রাখল!

এরপরে থেকে নিলা প্রতিদিন পুকুরে থেকে মস্যটি তুলে এবং মানুষ হলে গল্প
করে তাকে ইংরেজি শিখা আরে অনেক রুপ কথার মজার গলপ করে আর এভাবে নিলা
মস্যটির সাথে প্রায় প্রতিনিযত দেখা করে এভাবে চলতে চলতে এক সময় দুজন
দুজনা প্রেমে পড়ে

এক দিন নিলা মস্যটি মানুষ রুপ নিয়ে যখন প্রেমে আলাপে গল্প করছিল! তখন
রাজে  সেনাপ্রতি তাদেরকে দেখে ফেলে মস্যটি ভয় পেয়ে দৌড়ে পুকুরে পানিতে
নেমে আবার মস্য হয়!

সেনাপ্রতি বিষয়টি দেখে অবাক হয়! রাজার কাছে গিয়ে বিষয়টি খুলে বলে
সেনাপ্রতি নালিশ করে রাজার বিচার কর্জালয় নিলাকে ডাকা হলো কিন্তু নিলা
বিষয়ে কিছু না বলা তাকে বাহিরে যাওয়া  বদ্ধ করল! সেনাপ্রতির কথা মতে
পুকুরটি সেচার সিদ্ধাস্ত হলো

দীঘ তিন মাসে দুইশত ডুম/কুন দিয়ে পানি ছেচে যখন পানি এক দম শেষ! তখন
মস্যটি মানুষ হয়! তখন তাকে বদ্ধি করে রাজ কারাগারে নিয়ে যায়!  তখন রাজা
তাকে তার মেয়ে সাথে প্রেমের অপরাধে মূত্যু ডন্ড আদেশ দেয়!আর বলে হে যুবক
আগামীকাল সদ্ধা তোমার মৃত্যু ডন্ড  কাযকারি হবে বল তোমার শেষ ইচ্ছা কি?
মহারাজ্য আমার কোনো ইচ্ছা নেই
যখন তার পোষাক খুলে মৃত্যু ডন্ডের দেওয়ার পোষাক পরে দিলো তখন রাজা মস্য
যুবকটি গলার  লকেটটি দেখে বলে যুবক তোমার গলার লকেটি খুলে দাও
দেখি কি লেখা আছে
তারপর যুবকটি গলার লকেটি খুলে দেখে রাজা অবাক হলো চন্দন দিপের রাজা
আবাস সিংগের পুত্র নয়ন সিং আরে লকেট তো আমার দেওয়া আমি তো তোমার জন্ম
দিনে উপহার দিয়ে ছিলাম! পহড়ি যুবকের হাতের ছিকল ছেড়ে দাও আমার বদ্ধুর
পুত্র! চন্দন দীপের রাজার ছেলে আমার রাজ্য রখাতে আমাকে অনেক সহযোগিতা
করছে এর পর রাজা মহা ধুম ধামে নয়ন সিং নিলার বিয়ে ব্যবসা করে বদ্ধু
কাছে চিঠি লিখে দুত পাঠায় পুত্র বধূ নিতে চন্দন দীপের রাজার কাছে.
চন্দন দীপের রাজা পুত্রের সদ্ধান পেয়ে মহা খুশি ধুম ধামে আসে পরে নয়ন
সিং নিলার হমা ধুম ধামে বিয়ে হয়! আর মস্য যোবক হয় রাজার জামাতা তারপর
নয়ন সিং নিজ  রাজ্য ফিরে রাজ্য পরিচালোনার জন্য সিংহাসনে বসে আর আবাস
সিং পুত্র কে রাজ্য বুঝিয়ে দিয়ে বিসশামে চলে যায়!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন