একা
রায়হান তুলিপ
তাকিয়ে থাকি দূর আকাশে
আর ভাবি,তুমি ফিরবে এ হূদয়ে
আছি আজও একা বসে
খোলা আকাশের নিচে।
মাঝে মাঝে একা ঘুরি
তোমার কথাই ভেবে মরি
হূদয় আজও আঁকে তোমার ছবি
তোমায় আমি আজও ভালোবাসি।
সেদিন ছিলাম ল্যমপোস্টের নিচে
তোমার অপেক্ষায় একা দাড়িয়ে
শহরের আলো যায় নি নিভে
অপেক্ষা করেছিল আমার সাথে
আমার মত হয়ত ওরাও ভেবেছে
তুমি আসবে একটু পরেই আসবে।
কিন্তু হায়!
তুমি আসনি
আর কখনওই আসনি।
আমি আর অপেক্ষা করি না
কিন্তু তোমায় ভুলতেও পারি না
না আমি পারব না
কখনওই পারব না
কেননা,আমি ছলনাময়ী না
আমি স্বার্থপর না।
তুমি ভুলে যেতে পার আমায়
আমি ভুলবনা কখনও তোমায়।।
'ক্ষুদার জ্বালা'
রায়হান তুলিপ
রাস্তার পাশে বসেছিল এক ছেলে।
ক্ষুদার জ্বালা খাচ্ছে ওকে গিলে।
বড়লোকেরা খাচ্ছে সবাই মাংস পোলাও
দিয়ে।
ওদের কপালে
শুধু বোনপেলেটের হাড়-কাঁটা জোটে।
ফেলে দেওয়া
খাবার খেয়ে,
ওরা কোনরকম বাঁচে।
আমার সবাই
বিলাস ঘরে
খাই, কাচ্চি বিরিয়ানি দিয়ে।
একটু খানি খাবারেরে জন্য ওদের প্রাণ যায়। তবুও তারা ওদের
দিকে ফিরে না তাকায়।
ফুটপাকের কিনারা ধরে,থাকে ওরা পড়ে।
কেউবা ওরা বাস্তায় ঘুমায়,কেউবা
ডাষ্টবিনের পাশে।
আর আমার
সবাই বিলাস ঘরে,
ঘুমাই আরাম করে।
ওদের কষ্ট
দেখে আমার,চোখতো
ভিজে না।
পাষান হূদয় কি করে বুঝবে,ওদের কষ্ট
টা।
রয়ে যায় যদি একটু খাবার,
তবে তা হয় কুকুরের আহার।
শুনতে পায়না তবুও তারা,
পথের পাশে পরে থাকা
ছেলেটার ক্ষুদার হাহাকার।
এমনই দেশের
মানুষ আমি,
বিলাস দিয়ে গড়া।
কেমন করে গড়ব বল,
আমার সোনার
বাংলা?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন