প্রথম দেখা
ওয়ালিনা ওভি
বাতাসের অনামিকা ছুঁয়ে দুলে যায় একলা মনে নিসর্গের ঝুমকা,
কথাকলির কণ্ঠে তখন রাগ ভৈরবী,
গালে হাত দিয়ে বসে শোনে লজ্জাবতী।
তোমার ঐ লাজুক চোখের পাপড়ির মতো নুইয়ে পড়ে সহসাই,
আর আমি নয়নতারা হয়ে লাজের মাথা খেয়ে তাকিয়ে থাকি অপলক।
স্রষ্টার অপার্থিব রুপে অর্থহীন হয়ে যায় জাগতিক বাসনা।
প্রকৃতি তার বুকের খাঁজে লুকিয়ে রাখে পুরো পৃথিবীর বিস্ময়,
সেখানেই প্রথম দেখা তোমার আমার।এরপর আর থেমে থাকেনি,
এভাবেই সময়ের বক্ষবন্ধনীতে বাঁধা পড়ে যায় অবলীলায়
প্রকৃতির যুগল প্রেমের একান্ত কাহিনী।
মেরামত
ওয়ালিনা ওভি
তোমার ক্ষত হৃদয়টা একবার আমাকে দাও,
আমি
আর একবার
মায়াবতী হবো,
যাতনার
বিষে আবার
নীল হবো,
নীলকণ্ঠ
হবো।
পুন
:মুদ্রণে শুধু
আদরগুলো বসিয়ে
দেব তোমার
বিষাদ প্রচ্ছদে,
গভীর
রাতে পিকাসো
হবো,
এঁকে
যাবো একের
পর এক
আলিঙ্গনাবদ্ধ ছবি।
স্মৃতির
এ্যালবাম থেকে
বেছে নিয়ে
সুখের মূহুর্ত,
আলতো
হাতে সাজিয়ে
দেবো অনাগত
সময়ের পসরায়।
একবার
বেড়িয়ে এসো,
ছুঁড়ে
ফেলো স্ববিন্যাশের
মুখোশ।
তীব্র
আলোতে যদি
সংকুচিত হয়
প্রিয়তম আইরিস,
আমি
তোমার রোদ
চশমা হবো।
ঝড়
আসুক, এক
লহমায় কানামাছি
খেলে
তোমাকে
লুকাবো নিবিড়
পাখনায়!
উড়ে চলে যাবো আমি এক গতিমান ভালবাসা পাখি,
ভালবাসার
সব ক্ষুদ্র
বলয় পেরিয়ে
বৃহত্তর অসুখে।
ঠিকানাবিহীন
ওয়ালিনা ওভি
এক
অদ্ভুত সারল্য
মিশে আছে
চোখের গভীরতায়,
ঠোঁটের
কোনে জমাট
বাঁধা অমীমাংসিত
রহস্য।
নিকোটিনের
সাদা ধোঁয়ার
মতো ভেতরে
সেঁধিয়ে যায়
সুখ সুখ
মৃত্যু।
এক
অপার্থিব মোহ,
আচ্ছন্ন করে
রাখে তনু
মন,
নিবিষ্ট
মনে লিখে
যাই স্বপ্নের
সাতকাহন।
অমরাবতীর
পাড় ছুঁয়ে
দেখার অনন্ত
অভিলাস,
আর
এখন সামনে
রহস্যময়ী কুহেলিকা।
ডুবে
যাবো একটা
চোরাবালি চাই,
না
হয় একটা
সম্মোহনী চোখ!
আমার
তাতেই চলে
যাবে।
কুসুমাবত
আকাশে স্বপ্নময়তার
ছবি,
আর
আমি কচুরীপানার
মতো ভেসে
চলেছি।
ইচ্ছে করেই ঠিকানা হারিয়েছি,
ফিরে
যেতে চাইনা
তাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন