ছায়াপথে
মহিমা আজম হিমু
খুব অন্ধকার ছিল ।
ঘুটঘুটে শ্বাসরুদ্ধ নিশির অগোচরে,
তুমি আমায় নিয়ে গেলে
অমাবস্যার কালো রেখায়.......।
ছিল দুচোখ ভরা
বিশ্বাসের কিরণমালা ।
তুমি আল্তো স্বরে বল্লে,"একটু দাঁড়াও,,,জোঁৎস্না এনে দিচ্ছি তোমার জন্যে " ।
অতঃপর,
তুমি হারিয়ে গেলে.......।
আমি যুগের পর যুগ,
চোখেতে অপেক্ষা বুনি ।
বিদঘুটে কালো রজনী ছিল,
আমার কাজল রেখায়......,
তুমি জোৎস্নার অতলে হারিয়ে,
ছায়াপথটি ভূলে গেছ........।
কিভাবে ভূলতে পারলে ??
কত শত যুগ আমরা একসাথে
হেঁটেছি এই ছায়াপথের
অলিতে গলিতে.......।
এই তো সেদিন.........,
মাত্র চারদিনের জোঁৎস্না তোমায়
নিয়ে গেল লোকালয়ে ।
কিন্তু ,
তোমার তো ভীড় ভালো লাগতো না ।
রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় এখন আমি
ছায়াপথে দাড়িয়ে.......
কিছু ভৌতিক প্রাণীদের
আমায় গিলে খাওয়ার অপেক্ষায় ।
কত স্বপ্ন সাজিয়েছিলাম আমরা
এই ছায়াহীন ছায়াপথে.....
যেখানে কোন জোঁৎস্না ছিলো না ,,,
ছিলো না কোনো লোকালের ভীড়....।
ছিলাম শুধু তুমি, আমি আর আমাদের ছায়াপথ...........
অতঃপর একটি আমি
মহিমা আজম হিমু
অতঃপর..........,
আরও একটি আমি'র
মন খারাপের রাত্রী যাপন,,,
কাজল দিঘিতে গা ভাসানোর
সুপ্ত অভিলাষ ।
অতঃপর..........,
আরও একবার অশরীরির
মৃদু কন্ঠে "ভালোবাসি" শুনতে
ঠাঁয় দাঁড়িয়ে নিজেরই গরা,
ছায়াপথের শূন্যস্হানে
অশ্রুবিন্দুর আত্মবিসর্জন ।
অতঃপর............,
মাথায় করে কবরের মাটি এনে
একটি ভাসমান মনের
মৃত্যুশয্যা সাজানোর প্রয়াসে
একটি আমি'র আত্মচিৎকার ।
অতঃপর...........,
শান্ত ঘুমে আচ্ছন্ন করে
নিজেকে দিয়ে চন্দ্রাঘোরে
নির্বাসনে জলান্জলি,
তারপর বিষপ্রয়গের ছলচাতুরি ।
অতঃপর............,
হারানো প্রেমিকের বিধবা
"অপরাজিতা" হওয়ার
একটি আমি'র ছন্দপতন
আবেশী বন্দনা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন