কবিতা-আলমগীর

অভাগীনি

আলমগীর


রোদের আলোর পিড়িতে বসেছে বৃদ্ধ ঠাকুর  মশাই
হুক্কার পানিতে টানছে ধূমা পাশের বাড়ির গোসাই
ক্ষেতের কামলা আছে বসে দিতে হবে দানা পানি
ঠাকুমার ওই ময়লা কাপড় আমাকেই ধুতে হবে জানি
দেরী করোনা তারাতারি করো বলছে শাশুরী
ক্লান্তহীন খেটে যাই,যেনো চলমান বাসুরী
পতিদেব আজ নাইযে পাশে,রয়েছে প্রবাসে
শতোটা ব্যাথা কাটাই আমি শুধু তারই আশে
মাঝে মাঝে লিখে পত্র,জানতে কিছু চায়
কতো সুখে আছি আমি,কেমনে হেথায়
কর্ম যন্ত্র হলাম আমি কেমনে কহিবো
কষ্ট পাহাড় বুকে চেপে কতোটা সহিব
শেষ রাতে যখোন একটু নিদ্রা চোখে যাই
মধুক্ষণে পতিদেব কাছে নাহি পাই
স্বপ্ন ঘুমে দেখে তোমায় একটু মিটি হাসি
মিলনও অভাবে প্রেম যায় শুধু ভাসি
যদি ফিরে আসো কদিন পরে ওহে পতিধন
দেখবে তুমি আমার মনটা আগেরই মতন
নাইযে শুধু হাসির মাজে আগের রূপখানি
চোখের কোনে আজও আছে দুঃখে ঝড়া পানি
হাত দুটি আজ কর্ম জ্বালায় হয়ে গেছে ক্লান্ত
মুখ বুজে সব সয়ে গেলাম,রয়ে গেছি শান্ত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন