কবিতা-পাভেল আল ইমরান

পানশালায় যাচ্ছি

পাভেল আল ইমরান


বাঁশমোড়ের জোনাকি মিছিলের শেষে
ওই গ্রামটি, যেখানে মটরশুঁটির চাষ হয়
সেই গ্রামটির কোণায়,পানশালায় যাচ্ছি
ছবি আঁকবো তোমার
দেবদারু গাছের পিঠের মতো টেবিলটিতে বসবো
কিছু অ্যালকোহলও নেবো
যদিও তাকিলা , স্কছে পারদর্শী নই আমি
চেনেনা আমাকে কেউ পানশালায়
প্রায়ই আসি, বসি, গল্প করি
বলতে বলতে জোরে বলি, তবু যেন , বায়ু নির্গমন ছাড়া
আর কিছুই পারিনা আমি

নারীর নাভির মতো থরথর করা ফাঁকা ক্যানভাসে
যাচ্ছি ছবি আঁকবো তোমার
এখন সবাই চিনবে আমাকে
নাচতে ডাকবে, আলাপে বসাবে
রাজনীতি -কি সাহিত্য, পাতা ঝরা বারচ- কি
 তুষার প্লাবনে ঢাকা রাস্তার শরীর

এই পানশালায় প্রত্যেহ যাই
তবুকেউ অবগত নয় আমার নদীর রক্ত
সবাই আমার থেকে মুখ ফিরায়, তাদের ওজর জগন্য
-আমি ঘর হতে তোমাকে তাড়িয়ে দিয়েছি; কারণ,
 তুমি নাকি অন্যের বৌ
অমনি ঘরের বাতি গেলো নিভে
পেন্ডুলামের কাটায় গেলো জং ধরে
প্রাচীন কালের দূর্বায় জড়ানো কবর আমার ক্রেমলিন
ভেঙে চুরমার হল আসবাব, জানালা, বেহালা...

তাই যাচ্ছি আজ ছবি আঁকতে তোমার
কারণ, তোমার ছবি আঁকলেই আমি পাহাড়, অসংখ্য
অচেনা বৃক্ষ-অবৃক্ষ শরীরে ঘুমায়
আমি হই বিশেষ একটা কিছু
নিবিষ্ট মহৎদের দলে
মঞ্চে উঠলেই শেরালো- মুগ্ধতা ছুটে মুখে

সবাই করতালিতে আমায় আকাশ করে
রাজমহলের বাতির জ্যোতিতে
ভাবগাম্ভিহ্যে দেখিয়ে রাখি বুকের তারকা
অচিরেই হয়ে যাই ব্রুনো, যীশু
-আরো অনেকের উচ্চতায়

আমার অপভ্রংশকে ঠেকাতে যে হবেই
যাচ্ছি ছবি আঁকতে তোমার
পূর্ণ আস্তিন জড়িয়ে হাঁটি, বাজে ঝাঁঝ
শ্বাস খোলে জ্যাকারাণ্ডা
অশ্লাঘনীয় লোহার শলা বিঁধে পায়ের পাতায়
তবু আমি সহিসের গতিতে পানশালায়
তুষার মাখানো চেরি,পরিযায়ী পাখি হয়ে
তাকায় আমার দিকে

1 টি মন্তব্য:

  1. প্রাচীন কালের দূর্বায় জড়ানো কবর আমার ক্রেমলিন ......।
    অসাধারন লাইন ।

    উত্তরমুছুন