গল্পটা
মোশাররফ হোসাইন
একটা গল্প লিখছি আমি
আমার গল্পটা শুরু হয়
সমস্ত দিনের ক্লান্তি শেষে
প্রভাকর যখন অস্তমিত হয় |
পাখিরা সারাদিন ঘুরে বেড়ায়
পেট ভরে শস্য দানায় ,
দিন শেষে নীড়ে ফিরে
নিশ্চিন্তে ঘুমায় |
গোধূলিতে পশুদের পায়ের খুরে
উড়ে আসা ধূলি কনায়
রাখালের চোখের পাতায়
অন্ধকার নেমে আসে কানায় কানায় ;
পেচাঁরা ডেকে ডেকে তার গলার স্বর
যখন ক্লান্তিতে নেমে যায় ,
উঁচু গাছের মরা ডালায়
অন্ধকারের মলিন বীণায়
সে তার গান সঁপে দিয়ে
নিশ্চিন্তে ঘুমায় ;
আকাশের দরজা
আর খোলা জানালায়
অসংখ্য তারার ফুল ফুটে ওঠে
তখন তার নীল জোছনায়
অন্ধকারের হৃত্পিন্ডে বাসর সাঁজায় ,
পেঁচা আর পেঁচী মিলনে মেতে ওঠে
তখনি তারা দুজনের দুহে
দুজনে হারায় |
আর আমার আন্কুঁড়া গল্পটা
তখনি শুরু হয়
এর কাহিনী কোনো তরুণের
কিংবা কোনো তরুণীর প্রেমের নয় |
আর গল্পটা শুধু শুরুই হয়
এগিয়ে যাবার পথ খুঁজে পায় না
খুব বেশি দূর ;
আকাশের গায় যে পাখি উড়ে যায়
পশ্চিমের সীমানায়
সে কী জানে যে
সীমান্তের পথ কতদূর |
যতটুকু সামনে যায়
ততই তার মনে হয়
সীমান্ত অতি সুদূর |
গল্পটা হৃদয়ের গভীর ক্ষতের
নিরবে রক্ত ক্ষরণের
ছবি আঁকা শুধু ;
গল্পটা সমূদ্রের অতল জলে
বিসর্জন দেয়া কেবল
এক ফোঁটা শিশির বিন্দু |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন