ভেসে ওঠা মুখগুলো
ভেসে ওঠা মুখগুলো হাসি দেয় নিভৃতে আকাশে
অনেক তারার বুনন ঠেলে পূর্ণিমা হয়ে যায় সেই মুখগুলো
তাই আজ মনে পড়ে প্রথমার নাম
অনেক পুষ্পের দামে স্বপ্ন হয়ে জেগেছিল তারার মতন
আমি তারে প্রজাপতি হয়ে উড়তে দেখেছি
জলপরী হয়ে নেমেছিল সুখের ডাঙায়
অনেক স্বপ্নের নকসি কাঁথার বুনন এঁকেছিল সে
তারপর চড়ুইভাতির শেষে আনন্দ নিরাশ করে
একদিন কাটা ঘুড়ির মতো উড়াল দিল কোন দেশে
আমি তার পাইনি সন্ধান।
দ্বিতীয়ার কথা আজ মনে পড়ে বার বার
নীলপদ্ম হয়ে নেমেছিল জলে
কৃষ্ণাচতুদর্শী জুড়ে থেকেছিল সেই জলে
কিন্তু তার পদ্মটি ছোঁয়া হয়নি কোনদিন আর
অনেক রাখাল তারে বাঁশি দিয়ে ডেকেছিল জানি
অনেক গানের সুরে মজেছিল অনেকের মন
আমি আর কিভাবে দাঁড়াই বল রিক্ত হস্তে
আমার যে নাই কোন ধন
তাই আমি সন্তপের মতো
আকাশের ধ্রুবতারা দেখে দেখে কাটিয়েছি কাল
আজ সেই নারী হয়ে ধরেছে কোন এক সংসারের হাল
অনেক দিনের শেষে দেখা হলো পদ্মার পাড়ে
মনে হলো জন্মান্তরবাদ আজ ঘিড়ে আছে ঘাড়ে
গভীর বেদনা দিয়ে ঘন করে চোখ
জানিয়েছি অনেক দিনের জমানো এ শোক।
তৃতীয়ার সাথে ছিল অনেক অনেক দরবার
বিড়ালের গল্প দিয়ে যাত্রা শুরু তার
অনেক অতসী ফুল ফুটেছিল তার রাজপথে
শাপলার ডাটা হয়ে জমেছিল হৃদয়ের পটে
রজনীগন্ধার মতো ঘ্রাণ নিয়ে এসেছিল কাছে
আমি তাকে ছুঁই নাই তবু যেন মনে হয় ছুঁয়েছি সকালে
আমাকে সে বলেছিল একদিন শিউলির গাছ থেকে
গন্ধ নিয়ে আসবে আমার কাছে গোপনে গোপনে
প্রাতের মন্দির ছুঁয়ে গিয়েছিলাম সাজাতে সে বাগান
ততদিনে রাজহাঁস পিঠে তুলে নিয়ে গেল প্রতিবেশী দেশে
আজ তার কারু হাতে পিঠে খায় বনের ভালুক
আমি শুধু স্বপ্ন দিয়ে গড়ে তুলি অক্ষম তালুক।
চতুর্থ্ জনের কথা পেন্ডুলামের মতো দোলা দেয় ক্ষণে ক্ষণে
হরগৌরী যেন হাতির পিঠের পরে নেমে আসে ভূমে
অনেক লক্ষণ এসে ডাক দেয় আয় আয়
সূপ্রনখা হয়ে ধরা দেয় প্রতি জনে জনে
এমন কলির কৃষ্ণ কিভাবে যে নারী হয়ে জন্ম নিল ভেবে হই সারা
তবু আজ তার কথা মনে হলে অতীতের পাচালী পার্ব্ন হয় দাঁড়া
মাদাম ট্রেসার মতো সেই নারী কেঁড়ে নেয় মানুষের মন
তবু ভাবি একদিন হয়েছিল সেই নারী আমার আরাধ্য ধন
আমি তারে হারিয়ে খুঁজিনা আর
তবু ভাবি সে ছিল আমার।
এরপর নারীর শয্যায় বসে কবি হয়ে উঠেছিল এক ক্ষুদ্র নারী
সুচিত্রা সেনের মতো অভিনয়ে পারঙ্গম ছিল তার মন
উত্তম কুমার ভেবে কাব্যের দ্যোতনা দিয়ে ভরেছিল কবিতার খাতা
সংগীতের শতকলা রপ্ত করে বুনেছিল মাকড়সার জাল
ফাঁস লাগা হরিয়াল হয়ে আমি ধরা দিতে দিতে বেঁচে বর্তে গেছি
পলায়নে সর্ব্ সুখ সেই মন্ত্রে হয়ে গেছি যেন দেবযানী
আমার দেবার ছিল কবিতার খাতা
কিভাবে সুখিত হবে বল
সেখানে ছিলনা কোন সাদা পাতা
আজ তবু একা একা ভাবি
কিভাবে একটি মনের ক্ষত পাতকূয়া হয়েছিল কল্পনার সুচে
সেক্ষত ভরাট হবে দিন শেষে জানি
আমি শুধু রয়ে গেছি কাব্যের ভিলেন।
এরপর কাব্যসুধা নিয়ে আছি কিংশুকের মতো
ক্ষরিত কাব্যধারায় বমন করে চলছে অতীত কথন
আরও কত মেঘের আড়াল থেকে ভেসে উঠে নারী
অরুণ আভায় তার মুখগুলো হেসে উঠে আজ
কিভাবে স্মরণে রাখব তাদের
আমার যে হাতে আজ কবিতার কাজ।
কল্যাণ চক্রবর্তী
ভেসে ওঠা মুখগুলো হাসি দেয় নিভৃতে আকাশে
অনেক তারার বুনন ঠেলে পূর্ণিমা হয়ে যায় সেই মুখগুলো
তাই আজ মনে পড়ে প্রথমার নাম
অনেক পুষ্পের দামে স্বপ্ন হয়ে জেগেছিল তারার মতন
আমি তারে প্রজাপতি হয়ে উড়তে দেখেছি
জলপরী হয়ে নেমেছিল সুখের ডাঙায়
অনেক স্বপ্নের নকসি কাঁথার বুনন এঁকেছিল সে
তারপর চড়ুইভাতির শেষে আনন্দ নিরাশ করে
একদিন কাটা ঘুড়ির মতো উড়াল দিল কোন দেশে
আমি তার পাইনি সন্ধান।
দ্বিতীয়ার কথা আজ মনে পড়ে বার বার
নীলপদ্ম হয়ে নেমেছিল জলে
কৃষ্ণাচতুদর্শী জুড়ে থেকেছিল সেই জলে
কিন্তু তার পদ্মটি ছোঁয়া হয়নি কোনদিন আর
অনেক রাখাল তারে বাঁশি দিয়ে ডেকেছিল জানি
অনেক গানের সুরে মজেছিল অনেকের মন
আমি আর কিভাবে দাঁড়াই বল রিক্ত হস্তে
আমার যে নাই কোন ধন
তাই আমি সন্তপের মতো
আকাশের ধ্রুবতারা দেখে দেখে কাটিয়েছি কাল
আজ সেই নারী হয়ে ধরেছে কোন এক সংসারের হাল
অনেক দিনের শেষে দেখা হলো পদ্মার পাড়ে
মনে হলো জন্মান্তরবাদ আজ ঘিড়ে আছে ঘাড়ে
গভীর বেদনা দিয়ে ঘন করে চোখ
জানিয়েছি অনেক দিনের জমানো এ শোক।
তৃতীয়ার সাথে ছিল অনেক অনেক দরবার
বিড়ালের গল্প দিয়ে যাত্রা শুরু তার
অনেক অতসী ফুল ফুটেছিল তার রাজপথে
শাপলার ডাটা হয়ে জমেছিল হৃদয়ের পটে
রজনীগন্ধার মতো ঘ্রাণ নিয়ে এসেছিল কাছে
আমি তাকে ছুঁই নাই তবু যেন মনে হয় ছুঁয়েছি সকালে
আমাকে সে বলেছিল একদিন শিউলির গাছ থেকে
গন্ধ নিয়ে আসবে আমার কাছে গোপনে গোপনে
প্রাতের মন্দির ছুঁয়ে গিয়েছিলাম সাজাতে সে বাগান
ততদিনে রাজহাঁস পিঠে তুলে নিয়ে গেল প্রতিবেশী দেশে
আজ তার কারু হাতে পিঠে খায় বনের ভালুক
আমি শুধু স্বপ্ন দিয়ে গড়ে তুলি অক্ষম তালুক।
চতুর্থ্ জনের কথা পেন্ডুলামের মতো দোলা দেয় ক্ষণে ক্ষণে
হরগৌরী যেন হাতির পিঠের পরে নেমে আসে ভূমে
অনেক লক্ষণ এসে ডাক দেয় আয় আয়
সূপ্রনখা হয়ে ধরা দেয় প্রতি জনে জনে
এমন কলির কৃষ্ণ কিভাবে যে নারী হয়ে জন্ম নিল ভেবে হই সারা
তবু আজ তার কথা মনে হলে অতীতের পাচালী পার্ব্ন হয় দাঁড়া
মাদাম ট্রেসার মতো সেই নারী কেঁড়ে নেয় মানুষের মন
তবু ভাবি একদিন হয়েছিল সেই নারী আমার আরাধ্য ধন
আমি তারে হারিয়ে খুঁজিনা আর
তবু ভাবি সে ছিল আমার।
এরপর নারীর শয্যায় বসে কবি হয়ে উঠেছিল এক ক্ষুদ্র নারী
সুচিত্রা সেনের মতো অভিনয়ে পারঙ্গম ছিল তার মন
উত্তম কুমার ভেবে কাব্যের দ্যোতনা দিয়ে ভরেছিল কবিতার খাতা
সংগীতের শতকলা রপ্ত করে বুনেছিল মাকড়সার জাল
ফাঁস লাগা হরিয়াল হয়ে আমি ধরা দিতে দিতে বেঁচে বর্তে গেছি
পলায়নে সর্ব্ সুখ সেই মন্ত্রে হয়ে গেছি যেন দেবযানী
আমার দেবার ছিল কবিতার খাতা
কিভাবে সুখিত হবে বল
সেখানে ছিলনা কোন সাদা পাতা
আজ তবু একা একা ভাবি
কিভাবে একটি মনের ক্ষত পাতকূয়া হয়েছিল কল্পনার সুচে
সেক্ষত ভরাট হবে দিন শেষে জানি
আমি শুধু রয়ে গেছি কাব্যের ভিলেন।
এরপর কাব্যসুধা নিয়ে আছি কিংশুকের মতো
ক্ষরিত কাব্যধারায় বমন করে চলছে অতীত কথন
আরও কত মেঘের আড়াল থেকে ভেসে উঠে নারী
অরুণ আভায় তার মুখগুলো হেসে উঠে আজ
কিভাবে স্মরণে রাখব তাদের
আমার যে হাতে আজ কবিতার কাজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন