শশীর প্রতীক্ষায়
জাফর পাঠান
প্রস্ফুটিত তরঙ্গ যৌবনের – পূর্ণেন্দু রোসনাই হাসি
জেগে উঠে পূর্ণিমার শশী–আমি উদাসী বাজাই বাশী,
আকাশে-বাতাসে-ভূপৃষ্টে- বিলায় যদিবা নিজকে শশী
নিষুতি ভেঙ্গে উঠে জড়িয়ে ধরে বলি-আমার উর্বশী,
নিগূঢ় ভাব সহবাসী।
শুভ্র কাদম্বিনী শাড়িতে লুকায় যখন মুখশ্রী- শশী
ইচ্ছে করে তখন স্নিগ্ধ শশীর গায়ে উড়ে গিয়ে মিশি,
শশী রোসনাই মাখা মুখে- কামাগ্নী জ্বালিয়ে শুধু হাসে
যাকে আমি খুঁজেছি- প্রতি লোমকূপে শিহরণী বিশ্বাসে,
প্রতিটি রাতের সুহাসে।
সবাই উপরকে দেখলেও- দেখবো আমি ভিতরকে
ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কাদম্বিনীর শাড়ী- দেখবো গতরকে,
দেখবো রূপ যৌবনে ভরা- মোহময় গুণের কায়াকে
অন্তরে অন্তর মিশিয়ে আমি- চাখবো শশীর মায়াকে,
মনের তবকে- তবকে।
ঝুঝবো উল্টিয়ে পাল্টিয়ে- কামুক বাহুডোরের আঁকড়ে
শশী রূপের ঐ কান্তারে- দন্ত কামড়ে-নখের আঁচড়ে,
দেখবো রূপ যৌবনের শুধু কি বড়াই- দেহ ঝলকে
নাকি চিত্তেরও ঝলক বহে- প্রতি পলকের পলকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন