কবিতা-রাজীব চৌধুরীর ৩টি কবিতা

প্রবেশাধিকারঃ

নিখিল সমীকরণ- ড্রাফট নংঅজানা .....


নিজেকে খুঁজে ফেরা পাখির দল জানেনা কোথায় ছিল অজানা
নির্বোধ স্থর,
আমি সেখান থেকে নিজেকে খুঁজে ফিরেছি।
একদিন শুধু তোমার দেখা পাবো ভেবে আমি একাকী হেটেছি
নির্জলা জলাকার পথে প্রান্তরে।
আমার শিরা গুলো অস্থির ছিল বলে খুঁজে পাইনি কোন
বালুকনা- কিনবা আঠালো আস্তরণ,
এবং তারপর তুমি এলে জীবনে
আমি আন্দোলিত হলাম শুধু তোমার তোতলা উচ্চারনে
আমার শরীরের বিবমিষা শৃঙ্গার
আমার নিরামিষ চিহ্ন চেতনাকে ঘীরে গড়ে তুলে মহলা অট্টালিকা
আমি সেখানে লুকিয়ে রেখে নিশ্চিন্ত হতে পারিনি কোনভাবে
তাকিয়ে দেখি হৃদয়ের গহীনে তুমি- শুধু তুমি।
তোমাকে হারাব ভেবে আমি কেঁদেছিলাম রাত্রি দ্বিপ্রহরে
তোমাকে হারাব ভেবে আমি লুকোতে চেয়েছিলাম অলিন্দের প্রকোষ্টে
সেখানে শুধু রক্তের শ্রাব ধারা ছিল- এবং

রক্তের লাল বড় লালচে ছিল বলে
আমার বুকের বাম পাশে বয়ে যাওয়া শিরা গুলোকে সরিয়ে
আমি তোমাকে রেখেছিলাম সেখানে
তুমি তার চেয়েও অধিক রঙ্গিন হয়েছিলে সেকারনে
তোমাকে রাঙ্গাতে গিয়ে আমার হৃদপিন্ড বামপাশে সরে গিয়েছিল
এবং আমি হয়েছিলাম তোমার আরো বেশি আপন
সেই থেকে আমি এখন তোমাকে বহন করে চলেছি
জানি মৃত্যুও কেড়ে নিতে পারবেনা আমাকে
বুকের পাঁজর ভেদ করে হৃদপিণ্ড চিড়ে ফেল্লেও পাবেন কেউ
কারন আমি এখন তোমাকে লুকিয়েছি আরো গোপনে-
সেখানে আমার নিজের প্রবেশাধিকার নেই।




নিখিল আমি ভালবাসা


আমি তারপর খুঁজে ফিরে ছিলাম নিজেকে
নিখিল ড্রাফট এর কলমের খোঁচার মাঝে
আমার নিখিল সত্ত্বা
কেউ জানেনা সেখানে কি ছিল?
কে ছিল-
শুধু দেখেছিলাম আমার মাথার চারপাশে ছিল
একরাশ কামনার আগুন
দেহের মাঝে ছিল
লোভ- ঘৃণা- হতাশা
আমি সেখান থেকে পালাতে গিয়ে
নিজেকেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম।

তারপর ছিলনা আমার কোন অন্ধকার অস্তিত্ব
শুধু আমি গুমড়ে কাঁদার সময় জেনেছিলাম
অন্ধকারের বেগে নিজেকে হারিয়েছিলাম আমি
আলোর কাছে পৌছানো আমার আদৌ সম্ভব ছিলনা কোন কালে

নিজের হাতের ভেতর রেখেছিলাম তোমার নরম হাতের ছোয়
এখন সেই হাতের ছোয়া খুঁজে ফিরি
পাইনা কিছুই
শুধু আমার কোলে লেগে থাকে তোমার সোনালী চুলের ছোয়া
আমি সেই ছোয়া তে আঁচল পাতি
আবার তুমি আসবে ভেবে নিজেকে সাজাতে শুরু করি
নতুন সাজে।

তারপর দেখি আমার জলছাপে তোমার চিহ্ন
ততদিনে বুড়িয়ে গিয়েছিলাম বলে
ভাল করে দেখিনি চোখে - ঠাহর করতে পারিনি তোমাকে
তুমি তো আগের মতই ছিলে
আমি শুধু তোমার কথা ভেবে ভেবে একাকী
শুধু একাকী আনমনে গুনেছিলাম আমার বয়স
তারপর আমি তোমাকে আবার কোলে নিয়ে আদরে আদরে
ভরিয়ে দিলাম আবার সেই তোমাকে।



প্রেম নাকি কামনা

কামনার ভেতর প্রেম খুঁজে ফেরা কবিতার পংক্তিমালা

নিখিল ড্রাফটঃ


বিষন্নতার যন্ত্রনায় মরে যাচ্ছে শকুন গুলো
আগুনের হলকার মাঝে খুঁজে পেতে চাইছে জীবনের খেরোগান
কান্নার জলের কাছে মিছে মনে হচ্ছে উদ্ভিন্ন জীবনপ্রনালী
কিশোরী স্বপ্নের মাঝে বেঁচে থাকা শুদ্ধস্নান
মরে যাওয়া পাখিগুলোর মরা চোখ স্থির
হারিয়ে যাওয়া অপভ্রংশের মত ভেসে যায় শুদ্ধতম প্রাণ।

আমি তারি মাঝে খুঁজে পেতে চেয়েছিলাম প্রেমের অনল
তার চেয়ে মৃত্যু ছিল ঢের ভাল
মরন এলেই মরে যেতে হয় ভুলে নাই কাকড়ার দল
আমি সেই কথাটা ভুলে গিয়েছিলাম।

স্বপ্নের মাঝে খুঁজে ফেরা জীবনানন্দের বালিকার কেশ
মুক্তকেশ তিতিরের জলের মাঝে বয়ে যাওয়া হাওয়ার রেশ
পৃথিবীর কামনাগুলো জেঁকে বসেছে আমার চুলে
চোখের মাঝেই পড়েছিল সন্ধ্যা তারার মৃদুলেশ।

আমার এই কামনার নামই কি ছিল প্রেম
নাকি আমার দেহের চুল গুলো কামনার বাসনার মত কোনকিছু?
কেজানে এর কোণ কারন নেই জানি
এই সকাল সন্ধ্যা প্রশ্ন ছিল আমার মনে।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন