এই শহরে রাজহাঁস নিষিদ্ধ
-কালপুরুষ
এই শহরে রাজহাঁস নিষিদ্ধ
এই নগরে নিষিদ্ধ সত্য মানুষের মুখ;
তবু এই অভিযান সত্যবদ্ধ
শোকাগ্রস্থ সুখের এইসব অ-সুখ।
ভোর হয়; রাজপথে জীবন জেগে ওঠে
নিষিদ্ধ রাতও একদিন শেষ হয় তাহাদের বিস্বাদ ঠোঁটে।
নিশিবালিকারাও পথে নামে;
শরীরের দামে
কেনে কিছু অন্ন, কিছু ভয়,
নগ্ন আকাশ দেখে ভোলে কিছু নষ্ট অপচয়।
দিকে দিকে মন্দির হয় মসজিদ;
মসজিদ হবে গির্জা;
তবু শান্তি কোথাও নেই
সত্য কোথাও নেই।
কেউ মক্কা যায়
কেউ তীর্থে;
পথের দু-পাশে ক্ষুধার্ত মানুষ
পথের দু-পাশে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার
পথের দু-পাশে ক্ষুধার্ত মানুষের হাড়,
পথের মাঝে পথিকের মিছিল;
যেতে হবে দ্রুত, এইসব মানুষের অশ্লীল
ক্ষুধার বিনিময়ে সবার আগে কিনে নিতে হবে পুন্য!
কৃষকের নবান্ন শবে
শ্রমিকের রক্তের উৎসবে
বিশাল আকাশ নিচু হয়ে আসে
ফসল ফলে ওঠে সেইসব আকাশে।
রাজা যায়, ফিরে আসে মুখ বদলে,
দুঃখ-মৃত্যু নাম লেখে প্রজাদের দলে।
রাজা, উপরাজা, স্বরাজা যা পারেনা
মহান যমরাজা পারে।
মৃত্যু খেয়েছে তাহাদের শোক
শকুন খেয়েছে তাহাদের চোখ
পিঁপড়া খেয়েছে তাহাদের বুক;
এখানেই একদিন ক্ষুধা ছিল,
ঠিক পাশেই নাকি ঈশ্বর ছিলেন!
আমার জানবার কথা।
আমাদের অবসর নেই!
এই নগরে নিষিদ্ধ সত্য মানুষের মুখ;
তবু এই অভিযান সত্যবদ্ধ
শোকাগ্রস্থ সুখের এইসব অ-সুখ।
ভোর হয়; রাজপথে জীবন জেগে ওঠে
নিষিদ্ধ রাতও একদিন শেষ হয় তাহাদের বিস্বাদ ঠোঁটে।
নিশিবালিকারাও পথে নামে;
শরীরের দামে
কেনে কিছু অন্ন, কিছু ভয়,
নগ্ন আকাশ দেখে ভোলে কিছু নষ্ট অপচয়।
দিকে দিকে মন্দির হয় মসজিদ;
মসজিদ হবে গির্জা;
তবু শান্তি কোথাও নেই
সত্য কোথাও নেই।
কেউ মক্কা যায়
কেউ তীর্থে;
পথের দু-পাশে ক্ষুধার্ত মানুষ
পথের দু-পাশে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার
পথের দু-পাশে ক্ষুধার্ত মানুষের হাড়,
পথের মাঝে পথিকের মিছিল;
যেতে হবে দ্রুত, এইসব মানুষের অশ্লীল
ক্ষুধার বিনিময়ে সবার আগে কিনে নিতে হবে পুন্য!
কৃষকের নবান্ন শবে
শ্রমিকের রক্তের উৎসবে
বিশাল আকাশ নিচু হয়ে আসে
ফসল ফলে ওঠে সেইসব আকাশে।
রাজা যায়, ফিরে আসে মুখ বদলে,
দুঃখ-মৃত্যু নাম লেখে প্রজাদের দলে।
রাজা, উপরাজা, স্বরাজা যা পারেনা
মহান যমরাজা পারে।
মৃত্যু খেয়েছে তাহাদের শোক
শকুন খেয়েছে তাহাদের চোখ
পিঁপড়া খেয়েছে তাহাদের বুক;
এখানেই একদিন ক্ষুধা ছিল,
ঠিক পাশেই নাকি ঈশ্বর ছিলেন!
আমার জানবার কথা।
আমাদের অবসর নেই!
আমার প্রতিক্ষা
-কালপুরুষ
মানুষকে ঘৃণা করতে বাধ্য করোনা
আমার প্রতীক্ষা
মৃত্যুর
মৃত্যুকে উপেক্ষা করার
প্রিয় জলপাই তরু হতে ফিরিয়ে নিলাম চুমু দিবসের করুণ অন্ধকারে
সুতরাং আমি পাপমুক্ত
আমার প্রতীক্ষা
জীবনের
তবু
ক্রমশ মুছে গেছে আমাদের হাতের রেখা
বিনয়ী মাথা পাথরে রূপান্তরিত হয়েছে আমাদের
আমরা চোখ দেখতে ভয় পাই
আমাকে বলা হলো "শোন, সুস্থির হও;
অপেক্ষা করো"
আমি করলাম,
পাহাড় ভাঙ্গ, মাটি তোল, চাষ করো, কথা বোলনা...
আমি বলিনি;
তোমরা বললে "কঠিন হও"
আমার মাকে দাঁড় করালে আমার সামনে;
বললে "ধর্ষণ করো"
আমি মাথা তুলে দাঁড়ালাম (বিশ্বাস করো আমি চাইনি। সত্যি!)
দেখলাম ক্রমশ রেখা বিলীন হয়ে যাওয়া হাতে জন্ম নিয়েছে বিদ্রোহ--
"তোমরাও দ্যাখো" আমি বললাম।
মাথা নত করে হাতের দিকে তাকালে তোমরা (এটা ছিল মূর্খতা)
এবং আমি আঘাত করলাম (এটাই উপযুক্ত সময় )
তোমাদের রক্তে আমার মায়ের কম্পিত পা দুটো কী ভীষণ লাল
আর অহংকারী হয়ে উঠলো
সুতরাং এইবার
সুতরাং আজ আমি পাপমুক্ত
আমার প্রতীক্ষা
প্রেমের
আমাকে ভালবাসতে দাও
মানুষকে আঘাত করতে বাধ্য করোনা
ভালবাসতে দাও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন