অন্তর্গত
চন্দনকৃষ্ণ পাল
ক.
যদি ত্রি-ভূবন নারায়ণ চক্রে কেটে ফেলি
ফালিফালি মাটি, মানুষ, রংধনুর সাত রং
মিলে মিশে অন্য অবয়ব হবে
নূতন মন্ডে হবে অদ্ভুত কাগজ
যুগল দ্রুতে লেপটানো বিদ্রুপ দুই হাতে
চটকে চটকে প্রশংসার শ্বেতপদ্ম
আকাশে উড়ালে জানি তুমি হবে
ঝরনার জল।
খ.
জলের গভীর থেকে পদ্মের শিকড় তুলে
ঘ্রাণের মহল গড়ি দিন রাত্রি,
সারা শরীরে মেখে
চন্দনের তীব্র আলোড়ন
তীব্র গন্ধ প্রানবায়ু বাতাসে মিলায়।
গ.
বুকের গভীরে তার ভুল আয়োজন
বেহালার ছড়ে ওঠে রাত্রির ঢেউ,
কেটে ছিড়ে ধাবমান আরাধ্য ক্ষণ
রাত্রির পিছে ধায় সূর্যের ফেউ।
ঘ.
জিব্হায় তীক্ষ্ণ তীর বিধে থাকে আপাদমস্তক
বিষ তার প্রভাব ছড়ায় সবেগে
আকাশের ঘন নীলে চিলের চঞ্চু ঠোকরায়
রাতের শরীরে শ্বেতচন্দনের প্রলেপ
ঘুম ঘুম আবেশ ছড়ায়।
ঙ.
অবিন্যস্ত ঠোঁট, চোখের অতলে ধ্বংস স্তুপ
বারুদের উড়াউড়ি মস্তকের প্রাচীন ফসিলে
শব্দহীন কান্নাহীন রাত্রির শরীরে বিবমিষা।
চ.
বৃত্ত ভাঙ্গার আয়োজন হলে
চোখের জল বিধে মন ও মেধায়
তীব্র শব্দের কারুকাজ
এক পেশে ক্ষীপ্রতায় আক্রমণ করে।
কবিতাকর্মী ঠোঁটের বর্ম মেলে সামনে এগোন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন