কবিতা-বাবুল আবদুল গফুর

আমার দু’হাতে পৃথিবীর সবটুকু শরীর

বাবুল আবদুল গফুর


ওগো, এ সন্ধ্যাটুকু নামলেই তুমি আমার-
স্পন্দন বলে দেবে নাড়ীর!
পৃথিবীর সবটুকু সুখ আমাতে, এই নাও!
জানি না কত বছর- ওগো কত বছর!
ইন্দ্রিয়ের ভেতর পুড়ে গেছ-
ষোড়শ অনুভূতি----
দেখিছি কি! একটি ফুলের পরিপূণ বৃত্তান্ত!
খোলা বাতাসে- পৃথিবীর উচ্ছৃংখল চলাফেরা!
দেখিনি-একটি নক্ষত্রে অভ্যাসে
জ্বলে থাকা এতটুকু আলো!
ওগো, পথ ভেঙে ভেঙে এলে,
এলে, দ্যাখো-
আকাশে প্রস্তুত হেমন্তের জোছনা!
স্তব্ধ সুখে- প্রকৃতি জড়াজড়ি।
আমার দু’হাতে আজ পৃথিবীর সবটুকু শরীর।–

২.
এখন কষ্ট পেলে হেসে ফেলি। 
কিছু মনে রাখিনা সাধ্যের ভেতর-
কি অসম্ভব বদলে গেছি আমি!-
ঢেউয়ে বসে বসে এসব ভাবি।

কোনদিন যদি দেখা হয়, দেখবে,-
বড় ঝগড়াটে সেই আমি
কি শান্ত! ভদ্র!
যেন খোলসের ভেতর সযত্নে বাড়ছি।

তোমার কাছে বড্ড বেশি চাইতাম, ভাবতে,-
আমি নিদারুণ বেহিসাবী নিয়মে।-
পাড়ার ধাতস্থ এই রুক্ষ বালক, 
জোছনার পাশাপাশি আনাড়ি।

চলে গেলে সহস্র নিরুত্তাপে-
নিজের আশেপাশে।
আমি পড়ে আছি হয়তো মৃত্যুর কাছাকাছি।
এরপর নিজেকে সামলে নিতে বিপরীতে হেঁটেছি
খালি পায়ে-
পায়ে পায়ে...
মেঘের দেয়ালে পিঠ রেখে এসব ভাবি।

এক সময় কী দ্রুত কষ্ট পেতাম, 
কান্নারা প্রস্তুত যেন শ্রাবণ সৃষ্টির উল্লাসে...(!)
কে না জানে, একই কষ্টে কত কেঁদেছি-
আড়াল, অন্তরালে--!
আজ এইসব ভেবে হাসি।

পাগল! 
বড্ড বাড়াবাড়ি!
বুঝতেই পারিনি, 
এই গৃহস্থে অনেক 
কিছুই আমার নয়।
অথচ যা ভাবি সাদরে-
অধিকারে-
একান্ত আমার সম্পত্তি!
হেঁটে যেতে এসব ভাবি। 
আসলেই আমি পাল্টে গেছি---(?)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন