আজরাঈলের চোখ
রায়ান নূর
বাইশ বছর গেল ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে
পঁচিশের ডগায় মন হল চেতন
সংসারে তাই গা না ভাসিয়ে
পাঁচটি বছর করেছি বিনোদন ৷
চাকরীর নেশা,সংসার-জ্বালায়
কুঁকরে যখন মরছি দশে
হঠাৎ জাগল বিদ্যার কেতন
পড়ছি তাই চল্লিশে বসে ৷
দৌড়ের উপর টাকার চিন্তা
দিবসে খাদ্য অনেষণ
হলনা বিদ্যা পেকেছে চুল
অশান্তিতে মন বিলক্ষণ ৷
পঞ্চান্নই জড়সড় জেকে বসি
দেশের কাজ করতেই হবে
লিখতে বসেছি কয়েক বই
কলম ধরলে আসে ইতিকথা জীবনের
প্রাণ আছে তবু তার মানুষ কই ৷
কিছুই হলনা লেখা সকলি রইল পড়ে
ষাটের ঘাটে সবে পড়ল পা
লোকে দলে দলে বাড়িতে সুধায়
পরকালে যত সুখের শিরোপা ৷
সব ছেড়ে বসে পড়ি জায়নামাজে
হারিয়েছে সকল খেয়াল
কিছুই থাকেনা মনে দেখিনা ভালো
সামনে দোযখের দেয়াল ৷
হঠাৎ বাড়িতে জেগেছে কেন
মৃত্যুর শোরগোল
সবই তো রয়েছে পড়ে
কীসে এত গন্ডগোল ৷
পুরনো হিসেবগুলো মিলিয়ে দেখি
বারান্দার চৌকিতে শুয়ে
সবই ঠিক জীবনের বিচারে
কেবল বয়সটুকু গেছে খুয়ে ৷
কেউ আমারে চিনে কি আজ
দিতে তো পারিনি কাওকে সুখ
যা পেয়েছি লুফে নিয়েছি তাই
হঠাৎ দেখি আজরাইলের চোখ ৷