আর্তনাদ
ওয়ালিনা ওভি
অনাকাঙ্খিত জন্মে ,
নিতান্তই বাধ্য হয়ে দেখেছি সূর্যের মুখ ।
সোনালী সূর্য দেখে হলদে অসুখে ঝলসে গেছে চোখ ।
আজো চোখ মুদে দেখে যায় ...
তোমাদের লালসার বিশ্ব , সুখের ধরণী ।
ফকফকা সাদা ফ্রক পড়া পরী হতে চেয়েছি ,
পারিনি ।
মাথায় গামছা বেঁধে দুরন্ত বালক সাজার সখ ছিল ,
মেটেনি ।
কৈশরে একটা রঙ্গিন স্বপ্ন দেখতে গিয়ে অন্ধ বনেছি ।
তাই যৌবনে এসে ফন্দি আঁটি ,
পালিয়ে বাঁচার ।
লোহার খাঁচা থেকে বোকা বাঘিনীর মত লম্ফ দিয়ে ,
পড়ে গেলাম নিছিদ্র গারদে।
আজ নিজের ভাগ্যকে নিজেই করি উপহাস ।
খুব প্রিয় মুখ গুলোকে ছুঁয়ে দেখার আগেই ,
কেন হয়ে যায় মরীচিকা ?
জীবনের এই কঠিন প্রশ্নটা আজো তাড়া করে ফেরে ।
আমার
বারান্দায় পড়ে
থাকা নিঃসঙ্গ
চেয়ারে ,
দুপুরের মাদুরে লুটোপুটি খাওয়া একাকীত্বে ,
রাতের শীতলপাটিতে ,
খুব যত্ন করে বিছিয়ে রাখি একটা মেকি সুখ ।
স্বপ্ন দেখি এই দেয়াল ভাঙ্গার ,
সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করে খুঁজে আনি একটা আস্থার বুক ।
দু'হাতের বেষ্টনীতে বাঁধা পড়ে থাকি স্বেচ্ছায় ।
তোমার ঠেলে দেয়া অন্ধকারে হারাতে চাই না ,
বিশ্বাস করো , আঁধারে একা একা বড় ভয় করে ।
আজো প্রতিরাতে কল্পনায় দেখি কুপি হাতে এক পথিকৃত ।
ভেবো না ,
একদিন ঠিকই তোমার ঘ্রানে খুঁজে নেবো হৃদয়ের প্রাচীর ।
লৌহ দুয়ারে মাথা খুঁটে লিখে আসবো 'মুক্তি' ।
সময় করে ছুঁয়ে দেখো ...
প্রতিটি রক্তকণিকায় উজার করে দেয়া উষ্ণতায় মিশে আছে ,
এক মানবীর আর্তনাদ ।
দুপুরের মাদুরে লুটোপুটি খাওয়া একাকীত্বে ,
রাতের শীতলপাটিতে ,
খুব যত্ন করে বিছিয়ে রাখি একটা মেকি সুখ ।
স্বপ্ন দেখি এই দেয়াল ভাঙ্গার ,
সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করে খুঁজে আনি একটা আস্থার বুক ।
দু'হাতের বেষ্টনীতে বাঁধা পড়ে থাকি স্বেচ্ছায় ।
তোমার ঠেলে দেয়া অন্ধকারে হারাতে চাই না ,
বিশ্বাস করো , আঁধারে একা একা বড় ভয় করে ।
আজো প্রতিরাতে কল্পনায় দেখি কুপি হাতে এক পথিকৃত ।
ভেবো না ,
একদিন ঠিকই তোমার ঘ্রানে খুঁজে নেবো হৃদয়ের প্রাচীর ।
লৌহ দুয়ারে মাথা খুঁটে লিখে আসবো 'মুক্তি' ।
সময় করে ছুঁয়ে দেখো ...
প্রতিটি রক্তকণিকায় উজার করে দেয়া উষ্ণতায় মিশে আছে ,
এক মানবীর আর্তনাদ ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন