বৃষ্টি দিনের কাব্য
সুমন্ত গোস্বামী
বৃষ্টি ভেজা দিন। কেন জানি না;
আজকে হঠাৎ তোমার কথা মনে পড়ছে;
আজ থেকে বছর কয়েক আগের কথা,
তোমায় আমার খুব ভালোলাগত তখন।
শীত গায়ে রোদ মাখার মতো সেই ভালোলাগা।
তোমার ঘরের জানলা ধেকে যে পলাশ গাছটা দেখা যায়,
তার মগডালে বাবুইয়ের বাসা আছে; তুমি কি দেখেছ?
তুমি সকাল ঘটতে দেখেছ? কিমবা উঠোন ঘটতে?
যেমন ধরো, তুমি সকালের মিঠে রোদে হাঁটতে বেরিয়েছ;
উঠোন বেয়ে যেই নামতে যাবে, তুমি দেখলে বাগানের
টবটাতে একটা সুন্দর রজনীগন্ধা ফুটে আছে।
তুমি ফুল ভালোবাস? আমি বাসি না।
আমি উড়তে ভালোবাসি।
ধরো আমি ঘুড়ি হয়ে আকাশে উড়ছি, উড়তে উড়তে
হঠাৎ সুতো ছিঁড়ে আমি হাওয়ার টানে বয়ে চললুম।
তারপর একদিন; হাওয়ার কী সব খেয়াল চাপল ;
আমাকে ছেড়ে কোথায় যেন চলে গেল! আর আমি
অভিকর্ষের সব সূত্র মানতে মানতে নীচে এসে পড়লুম।
নেমেই দেখি তুমি আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।
তুমি কী ভালোবাসো বলবে কি?
সবুজ ঘাসের উপর শিশির পড়তে দেখেছি;
শত নক্ষত্র আর নিহারিকার সৌন্দর্য তোমাকে
এনে দিতে ইচ্ছে হত।
তোমার মধ্যে আমি শত রামধনুকে খুঁজে পেতাম।
এখন তোমাকেই খুঁজে পেতে কষ্ট হয়, মনের মধ্যে।।
মৃত স্বপ্নেরা
সুমন্ত গোস্বামী
> উদাস বিকেল অনুভূতহীন সুর,
> আবলুস কাঠে মেয়েলি রোদের খেলা
> আবহমানের হতাশায় ভরপুর।
>
> একলা শরৎ মৃদু মন্দুর হাওয়া
> চুপি চুপি ফেরে কাশের সারনী বেয়ে,
> তোমার জন্যে অযথাই পথ চাওয়া
> এখন তুমি কোথায় থাকো মেয়ে।
>
> স্বপ্ন যখন ঘুমের প্রাচীর বেয়ে
> ছড়ায় আমার মনের মরুভূমি,
> তখন তোমায় নতুন করে ভাবি
> ভালোবাসার ক্ষেত্রফল বুনি।
>
> রোদ ছড়ায় তেমনি পাইন গাছে
> সকাল ঘটে উঠোন জুড়ে আজো,
> মনে পড়ে সে সব কথা তোমার?
> তুমি কি আর তেমন করে ভাবো?
>
> যুবতী তুমি দু: স্বপ্নের মতো
> অকারনে যেন বসন্ত ঘটে বনে,
> এর চেয়ে তো কিশোরী শরৎ ভালো
> তার আঁচলেও জ্যোৎস্না খেলা করে।
>
> তরুন হৃদয় আবেগের রসায়ন
> হারিয়ে ফেলেছি জীবনের সেই বেলা,
> কিশোরী হয়ে আবার তুমি এসো
> রৌদ্রে তোমায় অপেক্ষায় আছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন