কবিতা-রাশেদুল হাসান শাকিল এর ৪'টি কবিতা

প্রাগঐতিহাসিক

রাশেদুল হাসান শাকিল


অপারগতার শেকলে বন্দী,
প্রতিটি রাত,প্রতিটি দিন।
ঘর্মাক্ত শরীরে-
ফুটন্ত পানির নির্মম উপহাস!
ডুমুরের ফলে-
বিষাক্ত বিচ্ছের অবিরাম চলাচল।
আঁধখাওয়া আপেলে-
পাশের বাড়ির মেয়েটির ধর্ষিত রক্ত!
আর দিনশেষে তোমার-
আগুনজ্বালা হাসির বিবস্ত্র ইতিহাস।

জীবনটা বড় বিষাক্ত লাগে !




প্রলাপ

রাশেদুল হাসান শাকিল


ধরো,
ঘড়ির কাঁটা হঠাৎ উল্টো দিকে ঘুরছে
ইলেকট্রিকের পাখাটাও।
যুবকের নিস্তব্ধ দেহের পাশ দিয়ে নির্জীব উড়ে চলছে সহস্র অভুক্ত মশা।

ধরো,
তুমি যাকে মানুষ ভাবো-
আমি সে মানুষ হয়ে ফিরেছি।
ধরো,
আমি আবার তোমার প্রেমে পরেছি।




বিসর্জন অথবা মুক্তি

রাশেদুল হাসান শাকিল


আমার আকাশেও ধূসর বেদনা ছিল,
রোদ উঠত না কখনো
সারাক্ষন সে আকাশে থাকত-
বিষাদের কাল মেঘ!
মাঝে মাঝে সে আকাশেও স্বপ্ন ভাসতো-
গোধূলীর তামাটে রঙ মেখে।
তবু সূর্য ওঠেনি।
গোধূলীও কেটে গেছে অন্ধকারের বিস্বাদে।
হঠাৎ এক সকালে চোখে পরল-
এক টুকরো চকচকে রোদ।
হ্যা,আমার আকাশে তুমি সূর্য হয়েই এলে!
অস্ত গেলে!
সেই যে অস্ত গেল-
আর উদয় হয়নি সুর্যের -
অভিমানী আমার আকাশে!
আবার রাতের আধার ঘনাবে-
বিষাদের অন্ধকার-
কুড়ে কুড়ে খাবে আমার আকাশ।
ঘুম আসেনা,
আমার কি আর ঘুমনোর সময় আছে?
কত কাজ বাকি এখনো!
৭টা নীল গোলাপ কিনতে হবে,
রক্তে ভেজানো এক থোকা হলুদ গাঁদা,১১টি রজনীগন্ধা।
.…
কাল আমার প্রেমিকার বিয়ে!



জল জীবন

রাশেদুল হাসান শাকিল


জীবন মানে জল হলে,
কচুপাতাকেই তুমি দেহ বলতে!
কচুপাতায় জলের মুমুর্ষু যাত্রা শেষে,
জীবন জলকে-
যতনে স্থান দিয়েছিলে বিলাসী কাঁচের গ্লাসে!

অহংকার !
হ্যা,বিবর্তনের অহংকার তাপে-
বিলাসী গ্লাসে ফাঁটল ধরেছে।
কচুপাতার পানি,সেই কচুপাতাতেই ফিরে এলো!
কিন্তু জানো প্রিয়তমা,
চিরচেনা সেই ভাঁজগুলো নেই নতুন পাতায়!
এখানে বেঁচে থাকা আরো বড্ড কঠিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন