উন্মোচন
শাব্বীর আহমাদ
" আমি স্বপ্ন দেখি
নিদ্রায় নয় পূর্ণ জাগরনে
ঝাপসা নয় পরিস্কার তীব্র দু নয়নে
স্থির মস্তিস্কে প্রবেশ করি স্বপ্নের
মায়াবী জগতে ।
ধীর স্থির ভাবে হাটি স্বপ্নপুরীর কাননে
অজানা দু একটা ফুল ছিড়ি আনমনে ।
পাখিদের সাথে খুনসুটি একদুপুর
স্নিগ্ধ ঝর্ণার নিচে আমি জলমগ্ন
এক সাধ্বী পুরুষ ।
তারপর বনের হরিণীদের চোখে চোখ
রেখে মায়াবী দুপুর
ওদের সাথে আমিও দাঁত দিয়ে ছিড়তে থাকি সবুজ
দূর্বার কোমল দেহ রসে ভরপুর ।
অতঃপর প্রাতকালীন আলসেমী ছেড়ে হাটতে শুরু করি আবার ,
সবুজ মাঠ, হলুদ ক্ষেত, সোনালী সমুদ্র
পেরিয়ে নীলচে পাহাড় ।
অনন্তকালের হাটা শেষে অবশেষে অবশেষে ,
তারে দেখে স্থির হয়ে যাই আমি নিমেষে
আমার সমস্ত দেহ নিঃসাড়
কেবলি চেয়ে থাকি অনিমেষ
চোখের পাতাও ভূলে যায় প্রাত্যহিকতা ।
আমার সামনে কালোমেঘের মত তার অসীম কেশরাজি দুলে উঠে ,
কি মায়াময় সে দুলুনি
কেঁপে উঠে ঠঁোট
বলে – আহ ! কী মায়াবতী ।
চুল থেকে নেমে চোখ স্থির হয় চোখে
যে চোখ আমারে নিশিদিন ডাকে ,
এ চোখে প্রবল সমুদ্রের জল
বাঁধ ভাঙার আশংকায় কেঁপে উঠে দেহ বাঁকে বাঁকে ।
চোখ থেকে চোখ নেমে যায় ঠঁোটে
কবি কেবলি নিরব থাকে
এ নিরবতাই প্রবল স্বরে তার জাঁদুময়তা প্রকাশ করে চলে ।
ঠঁোট থেকে চোখ নামে সেই উঁচু ভূমিতে ,
পৃথিবীর সমস্ত উঁচু ভূমি যার হিংসায়
অহঃর্নিশ কেঁদে মরে ।
পৃথিবীর সকল গোলাকার বস্তুই আজ মহান শিল্প ,
শুভ্র গোলকের সে কি মায়াময়
লোহিত চূড়া ,
তীব্র পিপাসায় শুকিয়ে যায় গলা
আমি সুরা চাই সুরা ।
তারপর পৃথিবীর সবচেয়ে কোমল কটিদেশ
যার মাঝে কালপুরুষের মত জ্বলজ্বলে
ছলনাময়ী গভীরতম নাভি ।
অতঃপর ,মহাবিশ্বের সবচেয়ে মায়াচ্ছন্ন
রহস্যঘোর প্রদেশের সামনে আমি
ধ্যানমগ্ন হয়ে পড়ি ,
ব্ল্যাকহোল কিংবা দালাইলামার গুহার
রহস্যময়তা যেখানে নিতান্তই তুচ্ছ ।
অবশেষে , যুগ-যুগান্তরের সাধনা শেষে
সিদ্ধিলাভের পরে
মহান এভারেস্টের মত দীর্ঘ ঋজু প্রেমিক পুরুষ দাড়িয়ে,
গ্রীবায় ঘোড়ার কেশরের মত কেশ উড়িয়ে
প্রবল মন্ত্র উচ্চারনে যায় এগিয়ে
শীতকাল থেকে বসন্তের দিকে ।
অবশেষে অবশেষে
চোখে চোখ, ঠোঁটে ঠোঁট
উষ্ঠে উষ্ঠ ,উরুতে উরু
স্বপ্নময় প্রেমের অনন্ত অধ্যায় শুরু ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন