কবিতা-দুর্জয় বৈদ্য

কাকস্যপরিবেদন

দুর্জয় বৈদ্য


তোমার কি ধারণা ,
সমুদ্রের জল দূর থেকে ধেয়ে আসে কেবল তোমার পায়ে আছড়ে পড়বে বলে?
মাতাল হাওয়া কি শুধু তোমার চুল এলোমেলো করে দিতে বয় ?
দুপুরের কড়া রোদ কি এই জন্য ওঠে , 
        যাতে তুমি রিকশার হুডটা তুলে দাও ?
বাগানে গ্লাদিওলাসের চাষ করা হয় কি তোমার হাতের মুঠোকে রঙিন করতে ? 

মাঠের সরিষা কেন এতো হলুদ হয় ?
     তুমি যখন তোমার জীর্ণ শহর ফেলে ছুটে যাও , তোমাকে অভিবাদন জানাতে?
ধানক্ষেতের মাঝে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা বক কি তোমার অপেক্ষাতে  থাকে?
     যাতে তুমি ওকে দেখে তোমার রক্তিম ঠোঁটের আশেপাশে মুগ্ধতার পরশ বুলিয়ে নাও?
শীতের ফ্যাকাসে আকাশ কি তোমার শাড়ির রঙে সাজতে বসন্তে আকাশি বরন ধারণ করে?

হঠাৎ মরা বিকেলের আলোকে মাড়িয়ে দিয়ে মাতাল হাওয়া কেন আসে ?
         শুধু তোমার পরিপাটি করে আঁচড়ানো চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিতে ?
আকাশ ভেঙ্গে মেঘের দল কেন বৃষ্টি হয়ে নামে ?
         শুধু তোমার জন্য নবধারা জলের ব্যবস্থা করতে?

এসব কিছুই কখনো তোমার জন্য হয় নি ।
হবেও না ।
তোমার জন্য কেবল এই শহরের অতি সাধারণ এক যুবকের ,
       রাতের পর রাত কাটে নিদ্রাহীন ।
       কবিতার খাতার প্রতিটা পৃষ্ঠাতে সে তোমাকে স্থান করে দেয় ।
       তার হাতটা বাড়িয়ে সে তোমার আঙুলগুলোর খোঁজ করে ।
কিন্তু তার সবকিছুকে কাকস্যপরিবেদন করে ,
         তুমি কত সহজেই না খুঁজে নাও অন্য কোন হাত !
               কত সহজেই না তুমি ভুলে যাও সব ! 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন